বাংলার গৌরব ডেক্সঃ ১৯৯৬ সালে জেলায় ৬ আসনের বিএনপির দখলে ছিলো এবং ২০০১ সালে ৬ আসনের মধ্যে ৫টিতে বিএনপি এবং ১টিতে আওয়ামীলীগ দখল নেয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ এ নওগাঁ জেলায় বিএপি ৫টিতে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে নওগাঁ সদর অপেক্ষায় রেখেছে।  জামাতে ৬ ও এনসিপির ১ প্রার্থীর নাম ঘোষনা করা হয়েছে। এদিকে বিএনপির একাংশের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও বিএনপির দলীয় প্রার্থীরা কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আগে থেকেই প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠে আছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলার সব কটি আসনে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেও মাঠে দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) একটি আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) দুটি আসনে । তবে একাংশের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও বিএনপির দলীয় প্রার্থীরা কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আগে থেকেই প্রার্থী ঘোষণা করে মাঠে আছে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলার সব কটি আসনে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেও মাঠে দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।

নওগাঁ–১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার আসন)

নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রার্থী করেছে দলটি। নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়াও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক এমপি ও নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ ছালেক চৌধুরী। তবে ডাঃ ছালেক চৌধুরী ও তাঁর অনুসারীদের ধানের শিষের প্রচারনায় পাশে পাচ্ছেন না মোস্তাফিজুর রহমান।  নিয়ামতপুর পোরশা ও সাপাহার উপজেলা নিয়ে নওগাঁ ১ আসন। নওগাঁ-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান এবার নির্বাচনে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ২০১৮ সালের জ্বালা এখনো ভোটারদের হৃদয়ে ক্ষোভ হিসেবে বিরাজমান। সেদিন যারা ভোট দিতে পারেননি, আজ তারা আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ—তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং সংসদে পাঠাবেন। ধানের শীষ শুধু একটি প্রতীক নয়, এটি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীক। মোস্তাফিজুর রহমান সেই প্রতীকের একজন পরীক্ষিত যোদ্ধা। তার ব্যক্তিত্ব, সুনাম, মাঠপর্যায়ে জনপ্রিয়তা এবং ত্যাগ আজও জনগণের মাঝে অনুপ্রেরণা হয়ে আছে। নওগাঁ-১ আসনের জনগণ এখনো স্মরণ করে সেই রাত্রি (২০১৮ সালের নির্বাচন), যেখানে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় বদলেছে, মানুষ এখন আরও সচেতন, আরও সাহসী। অন্যায় ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তারা এবার ভোট দেবেন স্বাধীনতার পক্ষের, গণতন্ত্রের পক্ষে, মানুষের প্রতিনিধির পক্ষে। সেই প্রতিনিধি হচ্ছেন মোস্তাফিজুর রহমান যিনি কখনো হারেননি, শুধু অপেক্ষা করছেন সঠিক সময়ের এমন মন্তব্য হাজারো মানুষের। নওগাঁ -১ আসনে গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৬০৮ জন এর মধ্যে সাবেক খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ১ ৮৭ ২৯০ ভোট পান ও নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান পান ১ ৪২ ০৫৬ ভোট পান। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নওগাঁ-১ এ মোট ভোটার ৪.৬৯.১৫৭ জন।

এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাহবুবুল আলম। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল হক শাহ চৌধুরী, এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব নিশাত আহমেদ মাঠে সক্রিয় আছেন।

নওগাঁ–২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট আসন)

কেন্দ্রীয় বিএনপির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি সামসুজ্জোহা খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আরও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী। মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে  নাজিবুল্লাহর অনুসারী নেতা–কর্মীরা সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন ।

সামসুজ্জোহা খান বলেন এখানে বিএনপি সব সময় ঐক্যবদ্ধ ছিল। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য এখনো সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে।’

জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য এনামুল হককে এখানে প্রার্থী করেছে জামায়াত। নিয়মিত কর্মসূচির পাশাপাশি ভোট চাইতে মানুষের কাছে যাচ্ছেন। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।  দীর্ঘ সময় ধরে আমি এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সবখানেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

নওগাঁ–৩ (মহাদেবপুর ও বদলগাছী আসন)

দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে আসনটিতে বিএনপির মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। মনোনয়ন পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা। মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকীও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ফজলে হুদার নাম ঘোষণা করার পর থেকে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন রবিউল ও পারভেজের কর্মী-সমর্থকেরা।

ফজলে হুদা বাবুল বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমি এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সবখানেই অনেক সাড়া পাচ্ছি।

এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য মাহফুজুর রহমান। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দলটির জেলা কমিটির সদস্য মুফতি নাসির বিন আসগর।

নওগাঁ–৪ (মান্দা আসন)

১৯৯১ সালে এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী নাছির উদ্দিন বিজয়ী হন। তবে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি সামসুল আলমের কাছে হেরে যান ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর থেকে এ আসনে জামায়াত প্রার্থী দেয়া হয়নি। এবছর প্রার্থী হয়েছে জেলার আমির খন্দকার আব্দুর রাকিব। আব্দুর রাকিব বলেন দাঁড়িপাল্লার জয় নিশ্চিত করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে আমি যাচ্ছি। নিয়মিত গণসমাবেশ, সভা-সমাবেশ করছি। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

বিএনপি এখানে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চলমান কমিটির সদস্য ডাঃ ইকরামুল বারী টিপুকে। তবে পাশে পাচ্ছেন না দলের একাংশের নেতা-কর্মীদের। মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম মতিন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ডা. ইকরামুল বারী টিপু বলেন সব আন্দোলন-সংগ্রামে আমি মাঠে সক্রিয় ছিলাম। দুর্দিনে তৃণমূল নেতাদের পাশে ছিলাম, আছি ও থাকব। নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. ইকরামুল বারী টিপু নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনটিতে বিএনপির  দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ডা. ইকরামুল বারী টিপুর নাম ঘোষণা করায় তাঁকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়াই  শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। নেতা কর্মীরা বলেন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও তৃণমূলে জনপ্রিয় ব্যক্তি ডা. ইকরামুল বারী টিপু। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়াই শতভাগ বিজয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। ডা. ইকরামুল বারী টিপু ৩২ বছর ধরে মান্দা উপজেলা বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি তৃণমূলের নেতা, শিক্ষক, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি। তাঁর নেতৃত্বে মান্দায় বিএনপি আজ ঐক্যবদ্ধ।

এই আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে সংগঠনটির জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসাইন ওয়ারেস মাঠে আছেন।

নওগাঁ সদর–৫ আসনঃ এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, বর্তমান সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, কেন্দ্রীয় সহ-সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র নজমুল হক সনি, বিএনপির নেতা মাসুদ হাসান তুহিন এবং সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান ডাবলু মাঠে আলোচনা আছেন। বিএপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট হলে দলকে আসনটি ছেড়ে দিতে পারে  জন্য এখন পযর্ন্ত কোন প্রার্থী ঘোষনা করা হয়নি। তবে ২০১৮ সালে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এআসনে ধানের শীষের ভোট করাই পৌর ও উপজেলা বিএপির সব আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে সক্রিয় ছিলেন এবং দূর্দিনে তৃণমূল নেতা কর্মী ও সমর্থকদের পাশে ছিলেন তিনি, একারণে মনোনয়ন দড়ে ও তৃণমূল নেতা কর্মী ও সমর্থকদের অস্থার প্রার্থী ও জনতার এমপি হয়ে উঠেন তিনি।

এখানে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন দলের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। মনিরা শারমিন জানান, এনসিপি নির্বাচনে দল গোছানোর উপলক্ষে ব্যানার, পোস্টারের মাধ্যমে শিগগিরই প্রচারণা শুরু করবে। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী না দেওয়ায় তৈরি হওয়া গুঞ্জনের বিষয়ে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত দল এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আসনটিতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আ স ম সায়েম দলীয় মনোনয়ন পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে মাওলানা আব্দুর রহমান মাঠে আছেন।

নওগাঁ–৬ (রানীনগর ও আত্রাই আসন)

তিনবারের সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির এবারও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে দল মনোনয়ন দিয়েছে আত্রাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলাম রেজুকে। তাঁরা ছাড়াও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল।

শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু বলেন বিগত ১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সাধারণ মানুষ মনেপ্রাণে ধানের শীষে ভোট দিতে চায়। নির্বাচন হলে এখানে ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।

নওগাঁ -৬ সংসদীয় আসন ৫১ এর জনতার এমপি এবং শান্তির দূত খ্যাত রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব শেখ মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজু। রাজনৈতিক ইতিহাসে নওগাঁ -৬ আসন সবসময় আলোচিত অবস্থানে থাকে। এখানে ভোট যুদ্ধ মানেই সমীকরণ, নতুন সম্ভাবনা আর নতুন ঘটনা প্রবাহের জন্ম। সেই ধারাবাহিকতায় আসনটি এখন স্থানীয় রাজনীতির অন্যতম আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনিত হয়েছে। আত্রাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি নওগাঁ -৬ আসনে বিগত উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক প্রাপ্ত বিএনপি নেতা এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের প্রতীক। জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব শেখ মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজু তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ে রাজনীতি তে তার অবদান রয়েছে বেশ। শেখ মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজু র রাজনৈতিক জীবন শুরু ছাত্র রাজনীতি থেকে। তিনি শুধু একজন কর্মী ছিলেন না বরং নওগাঁ -৬ আত্রাই রাণীনগর জনপদে সংগঠন কে শক্তিশালী করার দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। আত্রাই রাণীনগর জনপদে তার হাত ধরে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পেয়েছে নতুন প্রাণ শক্তি এবং সংগঠনের প্রতি আস্থা।

এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য খবিরুল ইসলাম। ইসলামী আন্দোলন তাদের প্রার্থী হিসেবে এখানে মুফতি রফিকুল ইসলামকে চূড়ান্ত করেছে।